প্রত্যেক পুরুষেরই জানতে স্পৃহা করে তাদের শরীরের কোন কোন দেহ মহিলা বহু পছন্দ। এই ব্যাপারে এক রিসার্চে প্রায় ১০০ লোক মহিলাকে প্রশ্নটি করা হয় যে, পুরুষদের কোন অঙ্গগুলো তাদের সবচেয়ে বহু পছন্দের।
তাদের ভিতরে কেউ বলবেন হাসি, কারও কাছে চুল, কারও আবার মনে হবে পুরুষের পটলচেরা চোখই নারীদের বহু পছন্দ। তবে অনেকের ভাবনাতেই আসবে না হাতের কথা। অথচ এটি প্রমাণিত যে, পুরুষের হাত মহিলার নিকট অন্যতম আকর্ষণীয় শরীর বলে বিবেচিত। কিন্তু হাতটিকে কয়েকটি যোগ্যতায় পাস করতে হবে অবশ্যই।
পুরুষের হাত বিষয়টি আবারো আলোচনায় আনল টুইটার-জগতে আধুনিক এক পোস্ট। ‘ডিইই’ নামের ১টি আইডি হতে ১টি হাতের পিকচার পোস্ট করে জানানো হয়েছিল, ‘নারীদের জন্য, যাদের হাত পছন্দ।’ পুরুষ নয়নে হাতটিতে তেমন বিশেষত্ব চোখে পড়বে না। পাতলা আঁচড়ের আঁচড় বিদ্যমান তাতে। এ ছাড়া বিশেষত্ব কয়েকটি নেই। কিন্তু সেই হাতের ছবিটাই অনেক ‘লাইক’ এবং ‘রি-টুইট’ হয়।
শুধু নারী নয়, এ হাতের মাজেজা বুঝতে তাতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন পর্যাপ্ত পুরুষও। নিজেদের হাতের পিকচার তুলে তারা সেখানে ‘রি-টুইট’ করছেন। ফোকাস একটাই, আমাদের হাতই-বা কী ত্রুটি করল!
অনেকে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করছেন। তাদের প্রশ্ন, এক হাত নিয়ে এমন হাতাহাতি হওয়ার জোগাড় কেন? কী আছে পুরুষদের হাতে। সেখানেই অনেকে জবাব দিয়েছেন, ওরা (নারী) ছেলেদের শিরা-উপশিরা বোঝা যায়- এইরকম হাত পছন্দ করে। এক মহিলার আবার একটু কাটাছেঁড়া হাত অধিক পছন্দ। তার মন্তব্য, ঠিক জানি না কেন, কিন্তু কাটার দাগটায় আমি শিহরিত। তবে নারীদের এই হাত প্রেমের গল্পে নারীদের একসাথে নানা রকম কমেন্ট করেন পুরুষরাও।
সেখানে একজন লেখেন-যেসব ছেলেদের হাতের শিরা উপশিরা নোটিশ যায় তারা অকর্মা হয়ে যায় না, অক্লান্ত ও শক্তিশালী হয়। তুলনামূলকভাবে অসাধারণ বংশধর জন্মদানের সম্ভাবনা বেশী থাকার কারণে অদম্য ও শক্তিশালী পুরুষের যে কোনো বৈশিষ্ট্য প্রাকৃতিকভাবে নারীদের অধিক আকৃষ্ট করে।
আরেক জন লেখেন, বুঝা যাচ্ছে গাজা খোরদের হাত মেয়েদের অধিক পছন্দ। ভিন্ন একজন লেখেন-অসম্পূর্ন হেডিং, প্রকৃতপক্ষে জানানো সমীচীন ছিল- মেয়েদের সবচেয়ে লাইক হচ্ছে ছেলেদের টাকা অ্যাডমিট হাত। দেখে নেয়া যাক সাইন্স কী বলছে? বিজ্ঞানও বলছে, পুরুষদের হাতের প্রতি নারীর দুর্বলতা আছে। বিশেষ করে শিরা-উপশিরা দৃশ্যমান হয়, এইরকম হাত সত্যিই নারীদের শিহরিত করে।
পুরুষের হাতের প্রতি নারীদের আসক্তি নিয়ে অথচ ছাড় তত্ত্বানুসন্ধান হয়নি। হাতের আঙুলগুলোর কথাই ধরুন, ডান হাতের অনামিকা আর তর্জনীর ভিতরে উচ্চতার ডিফারেন্স নিয়ে করেছে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, তর্জনী হতে অনামিকার হাইট বৃহৎ হলে সেই পুরুষ তুলনামূলক অধিক সন্তান প্রজননে উপযোগী হন। তার আইকিউও অন্যদের তুলনা বহু হয়ে থাকে। এরূপ সঙ্গীকেই তো নারীরা চাইবেন!
আবার জেনেভা ইউনিভার্সিটির একদল রিসার্চার জানিয়েছেন, সর্বাপেক্ষা অধিক না হলেও নারীরা পুরুষকে পছন্দ করার ক্ষেত্রে হাতকে বেশ দ্বারা থাকেন। আরো কিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বিষয়ে আড়চোখে নারীরা ঠিকই পরখ করে নেন পুরুষদের। সেসবের কথা অন্য দিন হবে।