জনপ্রিয় পর্ন স্টার সানি লিওন। তাঁর বাবা তিব্বতে জন্মগ্রহণ করেন এবং দিল্লিতে বেড়ে ওঠেন। আর তাঁর মা ছিলেন সিরমাউর, হিমাচল প্রদেশের মেয়ে। তরুণী থাকাকালীন সময়ে তিনি খুব খেলাধুলা-প্রেমী ছিলেন এবং ছেলেদের সাথে রাস্তায় হকিও খেলতেন।
যেহেতু তাঁর পরিবার শিখ ছিলো, এ কারণে পাবলিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার বিষয়ে অনিরাপদ বোধ করতো তাঁর পরিবার। ১৬ বছর বয়সে অন্য বিদ্যালয়ের একটি বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের সাথে তিনি কুমারীত্ব হারান এবং ১৮ বছর বয়সে তাঁর উভকামিতা আবিষ্কৃত হয়। ১৩ বছর বয়সে তাঁর পরিবার ফোর্ট গ্রাটিয়ট, মিশিগান চলে আসেন। পরবর্তীতে এক বছর পর লেক ফরেস্ট ক্যালিফর্নিয়ায় স্থানান্তরিত হন ।
অরেঞ্জ কাউন্টিতে পিডিঅ্যাট্রিক নার্স হিসেবে অধ্যয়নকালে জন স্টিভেনসের সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন এক বহিরাগত নৃত্যশিল্পী সহপাঠী। স্টিভেনস যিনি একজন কর্মচারী ছিলেন, পরবর্তীতে পেন্টহাউস ম্যাগাজিনের আলোকচিত্রী জে অ্যালেনের সঙ্গে লিয়নের পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক কর্মজীবনের জন্য ১টি নাম নির্ভুল করতে, তিনিআসল নাম হিসেবে সানি নামটি উল্লেখ করেন ও লিয়ন নামটি নির্ভুল করেন পেন্টহাউস ম্যাগাজিনের সাবেক মালিকবব গুচ্চিওনে।
সানি লিওন সম্মন্ধেঅজ্ঞাত তথ্য পেন্টহাউস ম্যাগাজিনের জন্য পেন্টহাউস পেট অব দ্য মান্থ হিসেবে মার্চ ২০০১ অঙ্কের জন্যে ক্যামেরার সম্মুখে দাঁড়ান। পরবর্তীতে হলিডে ফিচারে হাস্টলার হানি হিসেবে হাস্টলার ম্যাগাজিনের ২০০১ সংস্করণে অনেকগুলো ম্যাগাজিনের কাভার গার্ল হবার সুযোগ পান। এর মধ্যে রয়েছে, চেরি, মায়েস্টিকু ম্যাগাজিন, হাই সোসাইটি, শয়ান্ক, এভিএন অনলাইন, লেগ ওয়ার্ল্ড, ক্লাবআন্তর্জাতিকও লোরিডার।
এরপর তাঁর অনলাইন ক্রেডিটে মডএফএক্স মডেলে হিসেবে অধিভুক্ত হন সুসে রান্ডাল, কেন মার্কাস এবং ম্যাক এ্যন্ড বাম্বেল। উনি সচিত্র ক্রেডিটে আদ্রিয়ানা সেজ, জেনা জেমসন, জেলেনা জেনসেন ও আরিয়া জিওভান্নি ছাড়াও বিভিন্নতারকাদেরসাথে কাজ করার চান্স পান।
নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ভিভিড ইন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তিতে আবদ্ধ হন। তবে চুক্তির শর্ত অনুসারেশুধুমাত্র লেসবিয়ান চরিত্রেই অভিনয় করতে থাকেন তিনি। সানি অভিনীত প্রথম ছবিটি বের হয় ‘সানি’ নামেই ২০০৫ বছরের ডিসেম্বর মাসে। ভিভিড এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারেই বের হয় পরের ছবিটিও। নাম ‘ভার্চুয়াল ভিভিড গার্ল সানি লিওন’। এভাবে কোনো অভিনেত্রীর নামে পিকচারপ্রকাশ করার ঘটনা ভিভিডের ইতিহাসে এটাই প্রথম। এইখানে তার সঙ্গেআরও অভিনয় করেন মিকালা মেনডেজ এবং ডেইজি ম্যারি। এই ছবিটি তাকে এনে দেয় ‘এভিএন’ সম্মাননা।
কো-আর্টিস্টের ভূমিকায় অভিনয় করেন। পুরুষের সঙ্গেপ্রথম যে ছবিটিতে তিনি অভিনয় করেন সানি সেটির নাম ‘সানি লাভস ম্যাট’। ছবিটি তাকে ২০০৯ বর্ষেরসেরামেয়ে অভিনেত্রীর পুরষ্কার এনে দেয়। মিলিতভাবে কয়েকটি পিকচারে অভিনয়ের পর সানি উপলব্ধি করেন ম্যাটের সাথে টানা অভিনয় বাজারদর কমিয়ে দিচ্ছে। উনি অন্য অভিনেতাদের সঙ্গেও অভিনয় করার জন্যচালু করেন। যাদের ভিতরে রয়েছেন টমি গান, চার্লস তাঁবু জেমস ডিন প্রমুখ।
জুন ২০০৬ সালে সানি লিওন একজন আমেরিকান নাগরিক হয়ে ওঠেন। অথচ কানাডায় দ্বৈত নাগরিক হিসেবে থাকার প্রস্তুতি করেন। এপ্রিল ১৪, ২০১২ সালে, লিওন দ্য নিউ ইন্ডয়িান এক্সপ্রেস সাক্ষাত্কারে নিজেকে ইন্ডিয়ারবাসিন্দা হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনিবর্ণনা করেন যে তিনিভারতেরবিদেশি নাগরিক ছিলেন এবং তাঁর বাপভারতে বসবাস করতেন, আর উনি বিদেশী নাগরিকত্ব পাওয়ারও উপযুক্ত ছিলেন।