মহাকালের চিরন্তন নিয়মে সময় বয়ে যায়, দিন-সপ্তাহ-মাস পেরিয়ে বছর যায়, ক্যালেন্ডার পরিবর্তন হয়ে আসে নতুন বছর। এর মাঝেই মানুষের জীবনে হয় উত্থান-পতন, আসে সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা।
মহামারি করোনাভাইরাসের ধাক্কা কাটিয়ে ২০২২ সালে মানুষ পুরোদমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলো। এই বছরটাও শেষ হয়ে গেলো। কেমন গেছে বছরটি? আর নতুন বছর নিয়েও বা পরিকল্পনা-প্রত্যাশা কী? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যোগাযোগ করা হয় দেশের শোবিজ তারকাদের সঙ্গে।
এ আয়োজনে রইলো রাফিয়াত রশিদ মিথিলার কথা-
২০২২ খুব চ্যালেঞ্জিং ছিলো। করোনা মহামারি পরবর্তী স্বাভাবিক জীবনে ফেরার বছর ছিলো এটি। এ বছর ব্র্যাকের কাজের জন্য মোট ৯ বার আফ্রিকা উড়ে যেতে হলো! এর ফাঁকে আমার অভিনয় জীবনটাকেও চালিয়ে যেতে হয়েছে।
এরমধ্যে বাংলাদেশে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজল রেখা’র শুটিং শেষ করলাম। অনন্য মামুনের ‘অমানুষ’ সিনেমাটা মুক্তি পেলো। কলকাতা থেকে আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘মন্টু পাইলট’ রিলিজ হলো।
চাকরি আর অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশুনাটাও চালিয়েছি বছরটাতে। আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব জেনেভাতে পিএইচডি’র তৃতীয় বর্ষ শেষ করলাম।
এসব হিসাব করলে ২০২২ আমার জন্য ভীষণ কর্মময় একটা বছর ছিলো। তবে অফিসের ট্র্যাভেল, দুই বাংলায় শুটিং, মেয়ে আইরার লেখাপড়া-দেখাশোনা- সবমিলিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে শুধু ছুটে বেড়িয়েছি বিশ্বজুড়ে।
বছরের শেষটা হলো প্রাপ্তিতে। হায়দরাবাদের তেলেঙ্গানা ফিল্ম ফেস্টিভাল-এ আমার টলিউডের ‘মায়া’ ছবিটি গেছে। সেটিতে অভিনয়ের জন্য সম্মাননা পেয়েছি। সেটা একটা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকলো।
আর যে বছরটাতে মাত্রই পা ফেললাম, সেটিও আমার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এ বছরটায় আমি আরেকটু মনযোগী হতে চাই। অস্থিরতা কমাতে চাই। ভালো গল্প আর চরিত্রের জন্য অপেক্ষা করবো। স্থির হয়ে নিজেকে আর মেয়েটাকে আরেকটু বেশি সময় দিতে চাইবো। নতুন বছরে এটাই আমার অ্যামবিশন!