মেঘনা তটিনী ঘেরা ছোট্ট আই-ল্যান্ড গ্রাম উলানিয়া। শহুরের মেয়ে প্রজ্ঞা এসেছে এ গ্রামে। ভেতরে তার মনভাঙার মেঘ, চোখের তারায় মেজাজ হারিয়ে ফেলার ঝিলিক।
নাহ, তার একদমই এসব গ্রাম ভালো লাগছে না। কয়দিন পরেই তার ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান আছে; সেখানে নাচতে চায় সে। এতে প্রেমিকের আপত্তি থাকায় তার সঙ্গে কাটাকুটি!
একদিকে মন ভাঙার কষ্ট, অন্যদিকে গ্রামের নিউ পরিবেশ। খাপ খাওয়াতে পারছে না প্রজ্ঞা। তখনই সে মুখোমুখি হয়ে যায় গ্রামের সবচেয়ে পুরনো এক ভবনের।
কয়েক শ বছর আগে মগরা যখন উলানিয়ায় আক্রমণ চালাতো; সেটা প্রতিহত করতে এই আলয় হতে ছোঁড়া হতো কামানের গোলা। অথচ তারচেয়েও বড় কথা হলো, ভবনের মধ্যে প্রজ্ঞা খুঁজে পেলো টেরাকোটা। সেই টেরাকোটায় কী যে বেশ ভালো ডান্সের ফর্ম! গ্রামে এরূপ ডান্স নাকি নাচতে পারত একজনই; নাম তার হাসি।
কিন্তু খুশি তখন অপ্রসিদ্ধ পতিতা পল্লীতে আটকা পড়ে আছে। প্রজ্ঞা তার বার্তা পায় ঠিকই, অথচ হদিস পায় না। ওই দিকে হাসিও ট্রাই করে যায় নিজের এই ইঁদুর জীবন শেষ করার।
এরকম টাইমের মধ্যেই পালাতে পারে হাসি। নানা ঘটনার ভেতর দ্বারা খুশি ফিরে আসে তার গ্রামে। প্রজ্ঞা ছুটে যায় তার কাছে। কিন্তু গ্রামের মানুষগুলো প্রজ্ঞার মতো না। দালাল নুরুল আর গ্রামের চেয়ারম্যানের চাপে প্রজ্ঞাকে ‘খারাপ মেয়ে’ হিসেবে প্রতিপন্ন করে সবাই।
হাসিকে রাতের অন্ধকারে জোর করে আবার পাচার করতে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় তারা। কিন্তু এই যাত্রায় বাধা হয়ে আসে প্রজ্ঞা। তার মিত্র হয়ে যায় আদিল। তা সত্ত্বেও চাইলেই কি আর তারা এতদিনের সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে জয়ী থেকে পারবে? চাইলেই কি ভাঙতে পারবে মানুষের ভ্রান্ত ধারণা?
গ্রাম শহরের দুই নারীর শেকল ভাঙার এমন গল্প নিয়ে ফুয়াদ চৌধুরীর পরিচালনায় নির্মিত থেকে চলেছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মেঘনা কন্যা। বুধবার খবর প্রজ্ঞাপনে এসব ইনফরমেশন হয়। রাত্রিতে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় সংবাদ সম্মেলনের।
আনোয়ার আজাদ ফিল্মস ও এস জে মোশনস পিকচার্স প্রযোজিত চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করছেন ইয়ামিন হক ববি, সাজ্জাদ হোসোইন, নওশাবা, মোহাম্মদ বারী, মিলি বাশার, ফজলুর রহমান বাবু, জয়শ্রী কর জয়া, শতাব্দী ওয়াদুদ, সানজিদা মিলা, উপমাসহ অনেকে। চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন ফাহমিদুর রহমান এবং আহমেদ খান হীরক।